শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কুষ্টিয়ায় সরকারি নিয়ম অমান্য করে কৃষি জমি বালু দিয়ে ভড়াট

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ধান চাষের কৃষি জমি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভড়াট করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ করে দিয়েছেন কুষ্টিয়া সদর সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোঃ দবির উদ্দিন।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর)  বেলা ১২ টার সময় কুষ্টিয় সদর উপজেলার ত্রিমোহনী বাইপাস সড়ক এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পশ্চিম পাশে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিপ শীলের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোঃ দবির উদ্দিন। এসময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের অনুমতি বাদে পূনরায় বালু ভড়াট করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কড়া হুশিয়ারি প্রদান করেন এবং প্রায় ১০ টির মত ড্রাম ট্রাকের বালু জমিতে ফেলা বন্ধ করে দেন (এসিল্যান্ড) মোঃ দবির উদ্দিন।

অভিযানের সময় নাম উঠে আসে লিটু ও বিপ্লব নামের দুইজন জমি ব্যবসায়ীর। তারা এই ধানী জমি ক্রয় করে বালু ভড়াট করে প্লট আকারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই বালু ভড়াটের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন জুগিয়া এলাকার ডালিম নামের একজন বালু ব্যবসায়ী। ডালিমের বড় বড় ড্রাম ট্রাক যোগে এই বালু এনে ফেলা হচ্ছে। আর প্লাটুরের মাধ্যমে সমান করে দেওয়া হচ্ছে।

সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা এলাকার মৃত সামসুদ্দিন সরকারের ছেলে লিটু ও একই এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে বিপ্লব দুইজনই জমির ব্যবসা করেন৷ তারা জেলার বিভিন্ন এলাকার ধানী ও কৃষি জমি খুবই অল্পদামে ক্রয় করে সেখানে বালু দিয়ে ভড়াট করে প্লট আকারে কয়েক গুন বেশি টাকায় বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব জমি ব্যবসার কারনে তারা ভূমিদস্যু নামেই পরিচিতি লাভ করেছেন। এই সিন্ডিকেটের সাথে আরও অনেক বড় বড় রাঘব বোয়াল জড়িত রয়েছে। যারা মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করে তাদের সহযোগীতা করে থাকেন। বর্তমানে এই সিন্ডিকেটের কারনে একদিকে যেমন কৃষি  জমির সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনিই দিন দিন ফসলের আবাদও কমে যাচ্ছে।

কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইনে উল্লেখ রয়েছে,  অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন ভূমির ব্যবহার ভিত্তিক শ্রেণী পরিবর্তন করিয়া বা ভূমি জোনিং মানচিত্র লংঘন করিয়া কোন স্থাপনা নির্মান বা আবাসিক এলাকা প্রস্তুত করিলে বা বসতবাটি নির্মাণ করিলে বা কমিটির সিদ্ধান্ত অমান্য বা অগ্রাহ্য করিয়া অন্য কোনরূপ অবকাঠামো স্থাপন করিলে জেলা প্রশাসক বা তৎকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাংলাদেশ কোড (খন্ড-১৪) এর অধ্যাদেশ ২৪/১৯৭০ মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন। অপরাধ, বিচার ও দন্ড  ধারায় ৪(১), (২), ৫, ৬, ৯(৫) ও ১০ (১) এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য বা লংঘন করিলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেই হউক না কেন, তিনি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ কিংবা তাঁর/তাহাদের সহায়তা প্রদানকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অনূর্ধ্ব ০৫ (পাঁচ) বছর কারাদন্ড বা সর্বনিম্ন ০১(এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

এবিষয়ে কুষ্টিয়া সদর সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোঃ দবির উদ্দিন বলেন,কৃষি ও ধানী জমি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়াই বালু দিয়ে ভড়াট করে বিনষ্ট করছিলো একটি মহল এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বালু ভড়াট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া আবারও বালু ভড়াট করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বিএনপি জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দৌলতপুর তৃণমূল নেতা কর্মীদের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার নিউজঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আয়োজনে শান্তি সম...